আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগ নিষিদ্ধকারী ' প্যারিস প্যাক্ট' স্বাক্ষরিত হয়? ১৯২৮ সালের ২৭ আগস্ট ফ্রান্সের প্যারিসে 'প্যারিস প্যাস্ট' স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিটি 'ক্যালগ - ব্রিয়ান্ড ' বলেও পরিচিত। কার্যকর হয় ২৪ জুলাই ১৯২৯ ।
৬২২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে সেপ্টেম্বর হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) মদিনা নগরীতে হিজরত করেন। এসময় সেখানে বসবাসরত বানু আউস এবং বানু খাযরাজ সম্প্রদায় দ্রুতির মধ্যে ছিল। গোষ্ঠীগত হিংসা-বিদ্বেষ, তারা কলহে লিপ্ত ছিল। এ দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সম্প্রীতি স্থাপন ও মদিনায় বসবাসরত সকল গোত্রের মধ্যে সুশাসন ও শান্তি প্রতিষ্ঠ লক্ষ্যে ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) ৪৭ ধারার একটি সনদ বা সংবিধান প্রণয়ন করেন। | যা ইতিহাসে মদিনার সনদ (Medina charter) নামে পরিচিত। এটিই পৃথিবীর প্রথম লিখিত সনদ বা সংবিধান।
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
- স্বাক্ষরিত হয়- ১৬৪৮ সালে।
 - স্থান- ওয়েস্টফেলিয়া, জার্মানি Thirty Years War নামে পরিচিত।
 - মোট শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়- ৩ টি।
 - স্বাক্ষরিত হয়- প্রোটেস্ট্যান্ট ও রোমান ক্যাথলিকদের মধ্যে।
 - চুক্তির কারণ- ইউরোপের আর্থ-সামাজিক, ধর্ম এবং রাজনীতি নিয়ে ১৬১৮ সাল থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে ১৬৪৮ সালের ওয়েস্টফেলিয়া শান্তি চুক্তি মাধ্যমে।
 
- স্বাক্ষরিত হয় ১৭৮৩ সালে।
 - স্বাক্ষর করে- ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র।
 - উদ্দেশ্য- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নেয়া।
 - ফলাফল- আনুষ্ঠানিকভাবে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের পরিসমাপ্তি।
 
প্রথম ভার্সাই চুক্তি (১৭৮৩)
- স্বাক্ষরিত হয়- ১৭৮৩ সালে।
 - অপর নাম- মার্কিন স্বাধীনতা রক্ষা চুক্তি।
 - স্বাক্ষরিত হয়- ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীর Hall of Mirror প্রাসাদে।
 - ফলাফল- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা অর্জন।
 - স্বাক্ষরিত হয়- যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মধ্যে ।
 - ভার্সাই- ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের একটি উপশহর।
 
দ্বিতীয় ভার্সাই চুক্তি (১৯১৯)
- স্বাক্ষরিত হয়- ১৯১৯ সালে।
 - স্বাক্ষরিত হয়- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মিত্রশক্তি ও জার্মানির মাঝে।
 - স্থান- ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে।
 - উদ্দেশ্য- জার্মানিকে যুদ্ধাপরাধী চিহ্নিতকরণ এবং যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ আদায়।
 - ফলাফল- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের জন্য জার্মানীর ক্ষতিপূরণ প্রদান।
 
দ্বিতীয় ভার্সাই চুক্তির প্রধান দিকসমূহ
- এই চুক্তির মাধ্যমে জার্মানির রাষ্ট্রীয় সীমা এবং জনসংখ্যা শতকরা দশভাগ কমিয়ে আনা হয়।
 - পশ্চিম দিকে অবস্থিত অ্যালসেইস ও লোরেইন পুনরায় ফ্রান্সকে দেয়া হয়।
 - সারল্যান্ড অঞ্চলটি ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত জাতিপুঞ্জের অধীনে বিবেচনাধীন রাখার সিদ্ধান্ত
 - পূর্বে অবস্থিত জার্মানির অংশের নাম ছিল পশ্চিম প্রুশিয়া যার নির্দিষ্ট অংশ পোল্যান্ডকে ফিরিয়ে দেয়া হয়নেয়া হয়।
 - সেকসভিগে একটি গণভোটের ফলাফলের সাপেক্ষে এই অঞ্চলের উত্তরাংশটিকে ডেনমার্কের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
 - ড্যানজিগকে একটি মুক্ত শহর ঘোষণা করা হয়। আফ্রিকায় অবস্থিত সকল জার্মান কলোনিসমূহ বৃটেন, ফ্রান্স, জাপান এবং অন্যান্য মিত্রশক্তির কুক্ষিগত হয়।
 - জার্মানিকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় এবং মিত্রশক্তির অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহে সংঘটিত জীবন, অর্থ ও অবকাঠামোগত সকল ক্ষয়ক্ষতির জন্য জার্মানিকে দায়ী করা হয়।
 
- পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ সংঘটিত হয়- ১৯৬৫ সালে
 - তাসখন্দ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়- ১০ জানুয়ারি, ১৯৬৬ সালে।
 - স্থান- তাসখন্দ, উজবেকিস্তান (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন)।
 - উদ্দেশ্য ছিল- কাশ্মীর প্রশ্নে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধের অবসান ।
 - মধ্যস্থতাকারী দেশ- সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন বা বর্তমান রাশিয়া।
 
- স্বাক্ষরিত হয়- ১৯৭২ সালে।
 - স্বাক্ষর করে- ভারত ও পাকিস্তান।
 - স্থান- ভারতের হিমাচল প্রদেশের রাজধানী সিমলা।
 - উদ্দেশ্য- ১৯৭১ সালের ৯৩ হাজার যুদ্ধবন্দী বিনিময় ও কাশ্মীর ইস্যুতে শান্তি চুক্তি।
 
- স্বাক্ষরিত হয়- ১৯৭৮ সালে।
 - স্থান- যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ক্যাম্প ডেভিডে ।
 - স্বাক্ষর করে- মিশর (আনোয়ার সাদাত) ও ইসরাইল (মেনামে বেগিন)।
 - উদ্দেশ্য- মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়ার রূপরেখা নিরূপণ।
 - মধ্যস্থতা করে- সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার।
 - ফলাফল- সাময়িকভাবে মিশরকে OIC ও আরব লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
 - চুক্তিটির জন্য সাদাত ও বেগিন যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান- ১৯৭৮ সালে।
 
শেনজেন একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি যা ইউরোপীয় দেশগুলোকে তাদের জাতীয় সীমানা বিলুপ্তি করে দেশগুলোর মধ্যে ব্যক্তিদের অবাধ চলাচলের অনুমতি প্রদান করে। শেনজেন চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল সীমানাবিহীন একটি ইউরোপ তৈরি করা যা "শেঞ্জেন এলাকা" নামে পরিচিত হবে।
- স্বাক্ষরিত হয়- ১৯৮৫ সালে।
 - স্থান- লুক্সেমবার্গের শেনজেন শহরে।
 - ভিসামুক্ত ইউরোপের যাত্রা শুরু ১৯৯৫ সালে।
 
- স্বাক্ষরিত হয়- নভেম্বর, ১৯৯৫ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে।
 - অন্য নাম- “ডেটন প্যারিস চুক্তি” বা “প্যারিস প্রটোকল" ।
 - স্বাক্ষর করে- বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রো ।
 - উদ্দেশ্য- বসনিয়া যুদ্ধের সমাপ্তি করা।
 - উদ্যোক্তা- সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন।
 - নামকরণ- ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও রাজ্যের 'ডেটন শহরে এ চুক্তির বিষয়ে ঐক্যমত হয়, ফলে ডেটন শহরের নাম অনুসারে এ চুক্তির নামকরন করা হয়।
 
- স্বাক্ষরিত হয়- ১৯৯৮ সালে।
 - স্থান- উই বিস্তার, মেরিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র।
 - স্বাক্ষর করে- PLO এবং ইসরাইল।
 - উদ্দেশ্য- ফিলিস্থিনি ও ইসরায়েলের মাঝে শান্তি প্রতিষ্ঠা ।
 
- স্বাক্ষরিত হয়- ১০ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ সালে।
 - মানবাধিকার দিবস পালিত হয়- ১০ ডিসেম্বর।
 - স্থান- জাতিসংঘের সদর দপ্তর (নিউইয়র্ক)।
 - উদ্দেশ্য- মানুষ হিসেবে তার অধিকার সংরক্ষণ, এটি সার্বজনীন আইন।
 
- স্বাক্ষরিত হয়- ১৪ আগস্ট, ১৯৪১।
 - স্থান- ব্রিটিশ রণতরী প্রিন্সেস অব ওয়েলস।
 - স্বাক্ষর করে- ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র।
 - যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট।
 - ব্রিটেনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন- সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল ।
 - উদ্দেশ্য ছিল- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর সংকট সমাধান ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা।
 
- NPT-Nuclear Non Proliferation Treaty.
 - স্বাক্ষরিত হয়- ১ জুলাই ১৯৬৮। কার্যকর- ১৯৭০।
 - স্বাক্ষর করেনি- ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ সুদান ও ইসরাইল ।
 - উদ্দেশ্য- পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তাররোধ।
 - এ পর্যন্ত স্বাক্ষরকারী দেশ- ১৯১টি (উত্তর কোরিয়াসহ)।
 -  প্রত্যাহারকারী দেশ- উত্তর কোরিয়া: ২০০৩ সালে (কিন্তু কার্যকর হয়নি)।
 
- স্বাক্ষরিত হয়- ১০ এপ্রিল, ১৯৭২।
 - কার্যকর হয়- ২৬ মার্চ, ১৯৭৫ খ্রি.
 - উদ্দেশ্য- সব ধরনের বিষাক্ত জীবাণু উৎপাদন ও মজুদ নিষিদ্ধকরণ।
 
- প্যারিস শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়- ১৯৭৩ সালে।
 - স্থান- ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে।
 - স্বাক্ষরকারী দেশ- যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনাম।
 - উদ্দেশ্য- ভিয়েতনাম ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটানো।
 - ফলাফল- দীর্ঘ ২০ বছরের ভিয়েতনাম যুদ্ধের অবসান।
 
- স্বাক্ষরিত হয়- ১৯৭৫ সালে।
 - স্বাক্ষর করে- ইরান ও ইরাক ।
 - শাত-ইল-আরবকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
 
মন্ট্রিয়ল চুক্তি বা মন্ট্রিয়ল প্রটোকল হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। ওজোন স্তরকে রক্ষা করার জন্যে ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সাক্ষরিত হয় মন্ট্রিল চুক্তি, এবং ১৯৮৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হয়। এ পর্যন্ত মন্ট্রিয়ল চুক্তি ৫ বার সংশোধন হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালে এটি সংশোধিত হয়- কিগালিতে, রুয়ান্ডা।
- স্বাক্ষরিত হয়- ১৯৮৭ সালে।
 - কার্যকর হয়- ১৯৮৯ সালে।
 - স্থান- মনট্রিল, কানাডা।
 - উদ্দেশ্য- ওজন স্তরের জন্য ক্ষয়কারী উপাদান উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ।
 - বাংলাদেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ১৯৯০ সালে।
 
- কার্যকর হয় ১৯৯৭ সালে।
 - স্বাক্ষরিত হয় ১৯৯৩ সালে।
 - উদ্দেশ্য- সব ধরনের রাসায়নিক অস্ত্রের উৎপাদন, মজুদ নিষিদ্ধকরণ এবং ধ্বংস সাধন।
 
- স্বাক্ষরিত হয়- ১৯৯২ সালে। কার্যকর হয়- ১৯৯৩ সালে।
 - স্থান- নেদারল্যান্ডসের ম্যাসট্রিচট শহরে।
 - উদ্দেশ্য- ইউরোপে একক মুদ্রা ইউরো চালু এবং ইউরোপীয় অর্থবাজারকে সর্ববৃহৎ বাজারে পরিণত করা।
 - ইউরো মুদ্রার জনক- রবার্ট মুন্ডেল।
 - ইউরো মুদ্রা চালু হয়- ১ জানুয়ারি, ১৯৯৯ সালে।
 
বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধকরণ চুক্তি (সংক্ষেপে সিটিবিটি) সামরিক ও অসামরিক ক্ষেত্রে যাবতীয় পারমাণবিক পরীক্ষার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ১৯৯৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৫১তম অধিবেশনে এই চুক্তি গৃহীত হয়। দুখের বিষয় হলো এ চুক্তি এখনো কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।
- CTBT- Comprehensive Nuclear-Test-Ban Treaty.
 - স্বাক্ষরিত হয়- ১৯৯৬ সালে।
 - CTBT চুক্তি উত্থাপন করে- অস্ট্রেলিয়া
 - স্বাক্ষর করেনি- ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া
 - স্বাক্ষর করেও অনুমোদন দেয়নি- যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইসরাইল, ইরান ও মিশর।
 - বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার CTBT অনুমোদনকারী প্রথম দেশ।
 - বাংলাদেশ ২৮তম দেশ হিসাবে CTBT চুক্তি স্বাক্ষর করে- ১৯৯৬ সালে এবং অনুমোদন করে- ২০০০ সালে।
 
- স্বাক্ষরিত হয়- ১০ এপ্রিল, ১৯৯৮ ।
 - স্থান- উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজধানী- বেলফাস্টে।
 - বেলফাস্ট চুক্তির অন্য নাম - Good Friday Treaty
 - স্বাক্ষর করে ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ড।
 - ফলাফল- উত্তর আয়ারল্যান্ডে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।
 
- স্বাক্ষরিত হয়- ১৯৯৭ সালে। কার্যকর হয়- ২০০৫ সালে।
 - স্বাক্ষরিত স্থান- কিয়োটো, জাপান
 - কিয়োটো প্রটোকল- গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাসকরণ সংক্রান্ত একটি চুক্তি।
 - ১৪৪ টি দেশের অনুমোদন প্রয়োজন ছিল প্রটোকলটি বাস্তবায়নের জন্য।
 - বাংলাদেশ অনুমোদন করে- ২০০১ সালে।
 - ২০১২ সালে কানাডা কিয়োটো প্রটোকল হতে নাম প্রত্যাহার করে।
 - প্রথম স্তরের মেয়াদ ছিল- ১৫ বছর; ১৯৯৭-২০১২ সাল পর্যন্ত
 - ২০১২ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস হ্রাস করার কথা ছিল- ৫.২%।
 
- স্বাক্ষরিত হয়- ১৯৯৭ সালে স্থান- কানাডার অটোয়ায়।
 - অপর নাম- অটোয়া চুক্তি।
 - স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ- কানাডা।
 - উদ্দেশ্য- স্থলমাইন মজুদ, উৎপাদন, হস্তান্তর ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
 - স্বাক্ষর করেনি- চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ইসরাইল।
 - বাংলাদেশ ১২৬তম দেশ হিসাবে স্বাক্ষর করে- ১৯৯৮ সালে।
 
- কার্টাগেনা প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয় ২০০০ সালে।
 - কার্টাগেনা প্রটোকল কার্যকর হয়- ২০০৩ সালে।
 - স্থান- কানাডার মন্ট্রিল শহরে ।
 - কার্টাগেনা প্রটোকল মূলত- জাতিসংঘের জৈব নিরাপত্তা বিষয়ক একটি চুক্তি।
 
- নাগোয়া প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়- ২০১০ সালে।
 - কার্যকর হয় ২০১৪ সালে।
 - স্বাক্ষরের স্থান- নাগোয়া, জাপান।
 - উদ্দেশ্য- বন্য প্রাণী সংরক্ষণ প্রটোকল ।
 
- ATT-Arms Trade Treaty
 - জাতিসংঘের অস্ত্র-বাণিজ্য বিষয়ক চুক্তি।
 - স্বাক্ষরিত হয়- ২০১৩ সালে।
 - কার্যকর হয়- ২০১৪ সালে।
 - উদ্দেশ্য- অবাধ অস্ত্র-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করা।
 - বাংলাদেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে- ২০১৩ সালে।
 
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
জেনেভা কনভেনশন মূলত যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ৪টি চুক্তি ও ৩টি প্রটোকলের সম্মনয়ে গৃহীত পদক্ষেপ। জেনেভা কনভেনশন “১৯৪৯ সালের একটি সন্ধিপত্রকে" নির্দেশ করে, যেটি সম্পাদিত হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও তার ফলাফল সরূপ। ১৯৪৯ সালে পূর্বের তিনটি কনভেনশন (১৮৬৪, ১৯০৬ ও ১৯২৯) সালে সম্পাদিত যা পরিমার্জন ও সম্প্রসারণ করা হয়। চতুর্থ কনভেনশনটি যোগ করা হয় ১৯৪৯ সালে। এটি "চারটি রেডক্রস কনভেনশন” নামেও পরিচিত।
১ম জেনেভা কনভেনশন
- ১৮৬৪ সালে সম্পাদিত।
 - প্রধান উদ্দেশ্য ছিল- যুদ্ধক্ষেত্রে আহত ও রোগাক্রান্ত সৈন্যদের অবস্থার সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে।
 
২য় জেনেভা কনভেনশন
- ১৯০৬ সালে সম্পাদিত।
 - প্রধান উদ্দেশ্য ছিল- সমুদ্রস্থ যুদ্ধক্ষেত্রে আহত, অসুস্থ এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত জাহাজের সৈন্যদের অবস্থার সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে।
 
৩য় জেনেভা কনভেনশন
- ১৯২৯ সালে সম্পাদিত।
 - প্রধান উদ্দেশ্য ছিল- যুদ্ধবন্দিদের প্রতি আচরণ ও তাদের নিরাপত্তা এবং সুচিকিৎসা নিশ্চিতের লক্ষ্যে।
 
৪র্থ জেনেভা কনভেনশন
- ১৯৪৯ সালে সম্পাদিত।
 - প্রধান উদ্দেশ্য ছিল- যুদ্ধাবস্থায় বেসামরিক জনগণকে রক্ষার জন্য ।
 
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
Ramsar Convention হলো বিশ্বব্যাপী জৈবপরিবেশ রক্ষার একটি সম্মিলিত প্রয়াস। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে ইরানের রামসারে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশসমূহ Convention on Waterland নামক একটি আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
- উদ্দেশ্য- জলাশয় ও জলাভূমি সংরক্ষণ।
 - অনুষ্ঠিত হয়- রামসার, ইরান।
 - স্বাক্ষরিত হয়- ১৯৭১ সালে; কার্যকর হয়- ১৯৭৫ সালে।
 - বাংলাদেশে রামসার সাইট আছে- ৩টি; যথা: সুন্দরবন (১৯৯২), টাঙ্গুয়ার হাওর (২০০০), হাকালুকি হাওর (সর্বশেষ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত)।
 
ওজোন স্তর সুরক্ষা জন্য ভিয়েনা কনভেনশন একটি বহুমুখী পরিবেশগত চুক্তি। এটি ১৯৮৫ সালের ভিয়েন কনফারেন্সের সম্মত হয়েছিল এবং ১৯৮৮ সালে কার্যকর হয়। সার্বভৌমত্বের শর্তানুযায়ী এটি সর্বকালের সর্বাধিক সফল চুক্তিগুলির মধ্যে একটি। এটা ওজোন স্তর (স্ট্রাটোমন্ডল) রক্ষা আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জন্য একটি কাঠামো হিসাবে কাজ করে।
- ভিয়েনা কনভেনশনের উদ্দেশ্য- ওজন স্তরের সুরক্ষা এবং সিএফসি গ্যাস উদগিরণের মানদন্ড নির্ধারণ।
 - গৃহীত হয়- ১৯৮৫ সালে কিন্তু কার্যকর হয়- ১৯৮৮ সালে।
 - ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ সমর্থন করে।
 - কনভেনশনটি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্যই ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত হয়- মন্ট্রিল প্রটোকল (কানাডা)।
 
- গৃহীত হয়- ১৯৮৯ সালে।
 - কার্যকর হয়- ১৯৯২ সালে।
 - স্থান- বাসেল, সুইজারল্যান্ড।
 - উদ্দেশ্য- বিপজ্জনক বর্জ্য দেশের সীমান্তের বাইরে চলাচল ও সমুদ্রে নিক্ষেপের প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ এবং বর্জ্যের সুষ্ঠু নিষ্কাশনের ব্যাপারে কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন করা।
 
কনভেনশনটি ৫ জুন ১৯৯২ তারিখে রিও ডি জেনিরোতে আর্থ সামিটে স্বাক্ষরের জন্য খোলা হয়েছিল এবং ২৯ ডিসেম্বর ১৯৯৩ সালে কার্যকর হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র যারা এই কনভেনশনটি অনুমোদন করেনি। এর দুটি সম্পূরক চুক্তি রয়েছে, কার্টাগেনা প্রটোকল এবং নাগোয়া প্রোটোকল ।
- CBD-Convention on Biological Diversity
 - স্বাক্ষরিত হয়- ১৯৯২ সালে; কার্যকর হয়- ১৯৯৩ সালে।
 - স্থান- রিও ডি জেনিরো, ব্রাজিল ।
 - বাংলাদেশ অনুমোদন করে- ১৯৯৪ সালে।
 - কনভেনশনটি কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য ২০০০ সালে স্বাক্ষরিত হয় 'কার্টাগেনা প্রটোকল এবং ২০১০ সালে স্বাক্ষরিত হয় 'নাগোয়া প্রটোকল' ।
 
- UNFCCC-United Nations Framework Convention on Climate Change.
 - UNCCC-Climate Change Conference
 - UNFCCC স্বাক্ষরিত হয়- ১৯৯২ সালে রিও ডি জেনিরোর ধরিত্রী সম্মেলনে, ব্রাজিলে।
 - উদ্দেশ্য- বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলন (Conference of the Parties) আয়োজন করা।
 - বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে- ১৯৯২ সালে।
 
# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
কারাকাস, ভেনজুয়েলা
মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া
কাঠমান্ডু, নেপাল
কলম্বো, শ্রীলঙ্কা
মে মাসে
জুলাই মাসে
আগস্ট মাসে
সেপ্টেম্বর মাসে
- UNCHE-United Nations Conference on the Human Environment.
 - স্টকহোম সামিট বিশ্বের প্রথম পরিবেশ সম্মেলন হিসেবে পরিচিত।
 - সম্মেলনের স্থান- স্টকহোম, সুইডেন।
 - সময়কাল - ৫-১৬ জুন, ১৯৭২ সাল।
 - সদর দপ্তর- স্টকহোম (সুইডেন)।
 - প্রতিষ্ঠা- ১৯৭২ সালে।
 
- UNCED-United Nations Conference on Environment and Development.
 - সময়কাল- ৩-১৪ জুন, ১৯৯২ সাল।
 - অন্য নাম- 'Rio conference' বা ‘Earth Summit ’
 - সম্মেলনস্থল- রিও ডি জেনেরিও, ব্রাজিল।
 - এই সম্মেলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়- UNFCCC.